Sunday, June 14, 2015

বাংলাদেশের সংবিধান


সংবিধান , স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আইনএটি একটি লিখিত দলিল১৯৭২ খ্রিস্টাব্দের ৪ঠা নভেম্বর তারিেখ বাংলাদেশের জাতীয় সংসদে এই সংবিধান গৃহিত হয় এবং একই বছরের ১৬ই ডিসেম্বর বা বাংলাদেশের বিজয় দিবসের প্রথম বার্ষিকী হতে এটি কার্যকর হয়মূল সংবিধান ইংরেজি ভাষায় রচিত হয় এবং একে বাংলায় অনুবাদ করা হয় তাই এটি বাংলা ইংরেজি উভয় ভাষায় বিদ্যমান তবে ইংরেজী বাংলার মধ্যে অর্থগত বিরোধ দৃশ্যমান হলে বাংলা রুপ অনুসরণীয় হবে
বাংলাদেশের সংবিধান কেবল বাংলাদেশের সর্বোচ্চ আইন নয়;- সংবিধানে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের মূল চরিত্র বর্ণিত রয়েছে এতে বাংলাদেশের ভৌগলিক সীমারেখা বিধৃত আছে দেশটি হবে প্রজাতান্ত্রিক, গণতন্ত্র হবে এদেশের প্রশাসনিক ভিত্তি, জনগণ হবে সকল ক্ষমতার উৎস এবং বিচার বিভাগ হবে স্বাধীন জনগণ সকল ক্ষমতার উৎস হলেও দেশ আইন দ্বারা পরিচালিত হবে সংবিধানে গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা, জাতীয়তাবাদ এবং সমাজতন্ত্র কে রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছে

সংবিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্যে ১৯৭২ সালের ১১ই এপ্রিল . কামাল হোসেনকে সভাপতি করে ৩৪ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয় একই বছরের ১৭ই এপ্রিল থেকে ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত এই কমিটি বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠক করে জনগণের মতামত সংগ্রহের জন্য মতামত আহবান করা হয় সংগ্রহীত মতামত থেকে ৯৮টি সুপারিশ গ্রহণ করা হয় ১২ই অক্টোবর, ১৯৭২ তারিখে তৎকালীন আইনমন্ত্রী . কামাল হোসেন সংবিধান বিল গণপরিষদে উত্থাপন করেন এরপর ৪ঠা নভেম্বর, ১৯৭২ সালে বিলটি পাস হয় এবং আইনে পরিণত হয়সংবিধান লেখার পর এর বাংলা ভাষারূপ পর্যালোচনার জন্য . আনিসুজ্জামানকে আহবায়ক, সৈয়দ আলী আহসান এবং মযহারুল ইসলামকে ভাষা বিশেষজ্ঞ হিসেবে একটি কমিটি গঠন করে পর্যালোচনার ভার দেয়া হয়
গণপরিষদ ভবন, যা বর্তমানে প্রধানমন্ত্রীর সরকারী বাসভবন, সেখানে সংবিধান প্রণয়ন কমিটির বৈঠকে সহযোগিতা করেন ব্রিটিশ আইনসভার খসড়া আইন-প্রণেতা আই গাথরি সংবিধান ছাপাতে ১৪ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছিলো। শিল্পী হাশেম খান অলংকরণের দায়িত্বে ছিলেন। ১৯৪৮ সালে তৈরী ক্র্যাবটি ব্রান্ডের দুটি অফসেট মেশিনে সংবিধানটি ছাপা হয়মূল সংবিধানের কপিটি বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে সংরক্ষিত আছে
সংবিধানের সূচী:
বাংলাদেশ সংবিধানের প্রস্তাবনা, ১১টি ভাগ যা ১৫৩ নিবন্ধে সংযুক্ত হয়ে উপবিভাজিত বিভক্ত ৭টি তফসিল আছে , ছাড়া পরিকল্পনা আছে
প্রথম ভাগঃ প্রজাতন্ত্র
. প্রজাতন্ত্র,
 . প্রজাতন্ত্রের রাষ্ট্রীয় সীমানা,
-, রাষ্ট্রধর্ম,
. রাষ্ট্র ভাষা,
 . জাতীয় সঙ্গীত, পতাকা প্রতীক,
 ৪ক। জাতির পিতার প্রতিকৃতি,
. রাজধানী,
. নাগরিকত্ব,
. সংবিধানের প্রধান্য,
৭ক,সংবিধান বাতিল,স্থগিত করা ইত্যাদি অপরাধ,
৭খ,সংবিধানে মৌলিক বিধানগুলো সংশোধন অযোগ্য
দ্বিতীয় ভাগঃ রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি
. মূলনীতিসমূহ,
.জাতীয়তাবাদ,
১০. সমাজতন্ত্র,
১১. গণতন্ত্র,
১২. ধর্ম নিরপেক্ষতা,
১৩. মালিকানার নীতি,
১৪. কৃষক শ্রমিকের মুক্তি,
১৫. মৌলিক প্রয়োজনের ব্যবস্থা,
১৬. গ্রামীণ উন্নয়ন কৃষিবিপ্লব,
১৭. অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষা,
১৮. জনস্বাস্থ্য নৈতিকতা,
১৮ক‍‌,পরিবেশ জীববৈচিত্ত্য সংরক্ষণ,
১৯. সুযোগের সমতা,
২০. অধিকার কর্তব্যরূপে কর্ম,
২১. নাগরিক সরকারী কর্মচারীদের কর্তব্য,
২২. নির্বাহী বিভাগ হইতে বিচার বিভাগের পৃথকীকরণ,
২৩. জাতীয় সংস্কৃতি,২৩ক,উপজাতি,ক্ষুদ্র জাতিসত্তা,নৃগোষ্ঠৌ সম্প্রদায়ের সংস্কৃতি
 ২৪. জাতীয় স্মৃতি নিদর্শন প্রভূতি,
২৫. আন্তর্জাতিক শান্তি, নিরাপত্তা সংহতির উন্নয়ন

তৃতীয় ভাগঃ মৌলিক অধিকার
২৬. মৌলিক অধিকারের সহিত অসামাজ্ঞস্য আইন বাতিল, ২৭. আইনের দৃষ্টিতে সমতা, ২৮. ধর্ম,বণ,লিঙ্গ প্রভৃতি কারণের বৈষম্য, ২৯. সরকারী নিয়োগ লাভে সুযোগের সমতা, ৩০. বিদেশী খেতাব প্রভৃতি গ্রহণ নিষিদ্ধকরণ, ৩১. আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার, ৩২. জীবন ব্যক্তি-স্বাধীনতার অধিকার-রক্ষণ, ৩৩. গ্রেপ্তার আটক সম্পর্কে রক্ষাকবচ, ৩৪. জবরদস্তি-শ্রম নিষিদ্ধকরন, ৩৫. বিচার দণ্ড সম্পর্কে রক্ষন, ৩৬. চলাফেরার স্বাধীনতার, ৩৭. সমাবেশের স্বাধীনতা, ৩৮. সংগঠনের স্বাধীনতা, ৩৯. চিন্তা বিবেকের স্বাধীনতা এবং বাক স্বাধীনতা, ৪০. পেশা বা বৃত্তির-স্বাধীনতা, ৪১. ধর্মীয় স্বাধীনতা, ৪২. সম্পত্তির অধিকার, ৪৩. গৃহ যোগাযোগের সংরক্ষন, ৪৪. মৌলিক অধিকার বলবৎকরণ, ৪৫. শৃঙ্খলামূলক আইনের ক্ষেত্রে অধিকারের পরিবর্তন, ৪৬. দায়মুক্তি-বিধানের ক্ষমতা, ৪৭. কতিপয় আইনের হেফাজত, ৪৭ক. সংবিধানের কতিপয় বিধানের অপ্রযোজ্যতা

চতুর্থ ভাগঃ নির্বাহী বিভাগ
১ম পরিচ্ছেদ-রাষ্ট্রপতি ৪৮. রাষ্ট্রপতি, ৪৯. ক্ষমা প্রদর্শনের অধিকার, ৫০. রাষ্ট্রপতি পদের মেয়াদ, ৫১. রাষ্ট্রপতির দায়মুক্তি, ৫২. রাষ্ট্রপতির অভিশংসন, ৫৩. অসামর্থের কারনে রাষ্ট্রপতির অপসারন, ৫৪. অনুপস্থিতি প্রভূতির কালে রাষ্ট্রপতি পদে স্পীকার। ২য় পরিচ্ছেদ-প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রীসভা ৫৫. মন্ত্রীসভা, ৫৬. মন্ত্রিগণ, ৫৭. প্রধানমন্ত্রীর পদের মেয়াদ, ৫৮. অন্যান্য মন্ত্রীর পদের মেয়াদ তৃতীয় পরিচ্ছেদ-স্থানীয় শাসন ৫৯. স্থানীয় শাসন, ৬০ স্থানীয় শাসন সংক্রান্ত প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা ৪র্থ পরিচ্ছেদ-প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগ ৬১. সর্বাধিনায়কতা, ৬২. প্রতিরক্ষা কর্মবিভাগে ভর্তি প্রভূতি, ৬৩. যুদ্ধ ৫ম পরিচ্ধে-অ্যাটর্নি জেনারেল ৬৪. অ্যাটর্নি জেনারেল

পঞ্চম ভাগঃ আইনসভা
১ম পরিচ্ছেদ-সংসদ ৬৫. সংসদ-প্রতিষ্ঠা, ৬৬. সংসদে নির্বাচিত হইবার যোগ্যতা অযোগ্যতা, ৬৭. সদস্যদের আসন শূন্য হওয়া, ৬৮. সংসদ সদস্যদের পারিশ্রমিক প্রভূতি, ৬৯. শপথ গ্রহণের পূর্বে আসন গ্রহণ বা ভোটদান করিলে সদস্যের অর্থদণ্ড, ৭০. পদত্যাগ ইত্যাদি কারনে আসন শূন্য হওয়া, ৭১. দ্বৈত-সদস্যতায় বাধা, ৭২. সংসদের অধিবেশন, ৭৩. সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণ বাণী, ৭৩ক. সংসদ সম্পর্কে মন্ত্রীগণের অধিকার, ৭৪. স্পিকার ডেপুটি স্পকিার, ৭৫. কার্যপ্রণালী-বিধি, কোরাম প্রভূতি, ৭৬. সংসদের স্থায়ী কমিটিসমূহ, ৭৭. ন্যায়পাল, ৭৮. সংসদ সস্যদের বিশেষ অধিকার দায়মুক্তি, ৭৯. সংসদ-সচিবালয় ২য় পরিচ্ছেদ-আইন প্রণয়ন অর্থ সংক্রান্ত পদ্ধতি ৮০. আইন প্রণয়-পদ্ধতি, ৮১. অর্থবিল, ৮২. আর্থিক ব্যবস্থাবলী সুপারিশ, ৮৩. সংসদের আইন ব্যতীত করারোপে বাধা, ৮৪. সংযুক্ত তহবিল প্রজাতন্ত্রের সহকারী হিসাব, ৮৫. সরকারী অর্থের নিয়ন্ত্রন, ৮৬. প্রজাতন্ত্রের সরকারী হিাসাবে প্রদেয় অর্থ, ৮৭. বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি, ৮৮. সংযুক্ত তহবিলের উপর দায়, ৮৯. বার্ষিক আর্থিক বিবৃতি সম্পর্কে পদ্ধতি, ৯০. নির্দিষ্টকরণ আইন, ৯১. সম্পূরক অতিরিক্ত মঞ্জুরী, ৯২. হিসাব, ঋণ প্রভূতির ভোট, ৯৩. [বিলুপ্ত] ৩য় পরিচ্ছেদ-অধ্যাদেশ প্রণয়ন-ক্ষমতা ৯৩. অধ্যাদেশ প্রণয়ন ক্ষমতা
ষষ্ঠ ভাগঃ বিচার বিভাগ
১ম পরিচ্ছেদ-সুপ্রীম কোর্ট ৯৪. সুপ্রীম কোর্ট প্রতিষ্ঠা, ৯৫. বিচারক নিয়োগ, ৯৬. বিচারকদের পদের মেয়াদ, ৯৭. অস্থায়ী প্রধান বিচারপতি নিয়োগ, ৯৮. সুপ্রীম কোর্টের অতিরিক্ত বিচারকগণ, ৯৯. বিচারকগণের অক্ষমতা, ১০০. সুপ্রীম কোর্টের আসন (১০) হাইকোর্ট বিভাগের এখতিয়ার, ১০২. কতিপয় আদেশ নির্দেশ প্রভূতি দানের ক্ষেত্রে হাইকোর্ট বিভাগের ক্ষমতা, ১০৩. আপিল বিভাগের এখতিয়ার, ১০৪. আপীল বিভার্গে পরোয়ানা জারী নির্বাহ, ১০৫. আপিল বিভাগ কর্তৃক রায় বা আদেশ পুনর্বিবেচনা, ১০৬. সুপ্রীম কোর্টের উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার, ১০৭. সুপ্রীম কোর্টের বিধিপ্রণয়ন-ক্ষমতা, ১০৮. কোর্ট অর রেকর্ড রূপে সুপ্রীম কোর্ট, ১০৯. আদালত সমূহের উপর তত্ত্বাবধান নিয়ন্ত্রন, ১১০. অধস্তন আদালত হইতে হাইকোর্ট বিভাগের মামলা স্থানান্তর, ১১১. সুপ্রীম কোর্টের রায়ের বাধ্যতামূলক কার্যকারিতা, ১১২. সুপ্রীম কোর্টের সহায়তা, ১১৩. সুপ্রীম কোর্টের কর্মচারীগণ ২য় পরিচ্ছেদ-অধস্তন ১১৪. অধ:স্তন আদালতসমূহ প্রতিষ্ঠা, ১১৫. অধ:স্তন আদারতে নিয়োগ, ১১৬. অধ:স্তন আদালতসমূহের নিয়ন্ত্রন শৃঙ্খলা, ১১৬ক. বিচার বিভাগীয় কর্মচারীগণ বিচারকার্য পালনের ক্ষেত্রে স্বাধীন ৩য় পরিচ্ছেদ-প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনাল ১১৭. প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালসমুহ ষষ্ঠ ভাগ : জাতীয় কল-[বিলুপ্ত]
সপ্তম ভাগঃ নির্বাচন
১১৮. নির্বাচন কমিশন প্রতিষ্ঠা, ১১৯. নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব, ১২০. নির্বাচন কমিশনের কর্মচারগিণ, ১২১. প্রতি এলাকার জন্য একটি মাত্র ভোটার তালিকা, ১২২. ভোটার-তালিকায় নামভুক্তি যোগ্যতা, ১২৩. নির্বাচন-অনুষ্ঠানের সময়, ১২৪. নির্বাচন সম্পর্কে সংসদের বিধান প্রণয়নের ক্ষমতা, ১২৫. নির্বাচনী আইন আইনের বৈধতা, ১২৬. নির্বাচন কমিশনকে নির্বাহী কর্তৃপক্ষের সহায়তাদান
অষ্টম ভাগঃ মহা হিসাব নিরীক্ষক নিয়ন্ত্রক
১২৭. মহাহিসাব নিরীক্ষক পদের প্রতিষ্ঠা, ১২৮. মহা হিসাব নিরীক্ষকের দায়িত্ব, ১২৯. মহা হিসাব নিরীক্ষকের কর্মের মেয়াদ, ১৩০. অস্থায়ী মহা হিসাব নিরীক্ষক, ১৩১. প্রজাতন্ত্রের হিসাব রক্ষার আকার পদ্ধতি, ১৩২. সংসদে মহা হিসাব নিরীক্ষকের রিপোর্ট উপস্থাপন

নবম ভাগ : বাংলাদেশের কর্মবিভাগ
১ম পরিচ্ছেদ- কর্মবিভাগ ১৩৩. নিয়োগ কর্মের শর্তাবলী, ১৩৪. কর্মের মেয়াদ, ১৩৫. অসামরিক সরকারী কর্মচারীদের প্রভূতি, ১৩৬. কর্মবিভাগ পুনর্গঠন ২য় পরিচ্ছেদ-সরকারী কর্মকমিশন ১৩৭. কমিশন প্রতিষ্ঠা, ১৩৮. সদস্য নিয়োগ, ১৩৯. পদের মেয়াদ, ১৪০. কমিশনের দাযিত্ব, ১৪১. বার্ষিক রিপোর্ট

দশম ভাগ : সংবিধান সংশোধন
১৪২. সংবিধানের বিধান সংশোধনের ক্ষমতা

একাদশ ভাগ : বিবিধ
১৪৩ প্রজাতন্ত্রের সম্পত্তি, ১৪৪. সম্পত্তি কারবার প্রভূতি সম্পর্কে নির্বাহী কর্তৃত্ব, ১৪৫. চুক্তি দলিল, ১৪৫ক. আন্তর্জাতিক চুক্তি, ১৪৬. বাংলাদেশের নামে মামলা, ১৪৭. কতিপয় পদাধিকারীর পারিশ্রমিক প্রভূতি, ১৪৮. পদের শপথ, ১৪৯. প্রচলিত আইনের হেফাজত, ১৫০. ক্রান্তিকালীন অস্থায়ী বিধানাবলী, ১৫১. রহিতকরণ, ১৫২. ব্যাখ্যা, ১৫৩. প্রবর্তন, উল্লেখ, নির্ভরযোগ্য পাঠ


সংবিধানের সংশোধনীসমূহ

প্রথম সংশোধনী
১২ জুলাই ১৯৭৩ : যুদ্ধপরাধসহ অন্যান্য গণঅপরাধীদের বিচার নিশ্চিত করা
(
উথাপনকারী- আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর)

দ্বিতী্য সংশোধনী
১৮ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩ : অভ্যন্তরীণ বা বহিরাক্রমণ গোলযোগে দেশের নিরাপত্তা অর্থনৈতিক জীবন বিপন্ন হলে সে অবস্থায় 'জরুরি অবস্থা' ঘোষণার বিধান
(
উথাপনকারী- আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর)

তৃতীয় সংশোধনী
২১ নভেম্বর ১৯৭৪ : বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি অনুযায়ী বেরুবাড়িকে ভাড়তের নিকট হস্থান্তর বিধান
(
উথাপনকারী- আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর)

চতুর্থ সংশোধনী
২৫ জানুয়ারী ১৯৭৫: সংসদীয় শাসন পদ্ধতির পরিবর্তে রাষ্ট্রপতি শাসিত শাসন পদ্ধতি চালু এবং বহুদলীয় রাজনীতির পরিবর্তে একদলী্য রাজনীতি প্রর্বতন
(
উথাপনকারী- আইনমন্ত্রী মনোরঞ্জন ধর)

পঞ্চম সংশোধনী
এপ্রিল ১৯৭৯: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের সামরিক অভ্যুথানের পর থেকে ১৯৭৯ সালের এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক সরকারের যাবতী্য সরকারের বৈধতা দান
(
উথাপনকারী- সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান)

ষষ্ঠ সংশোধনী
জুলাই ১৯৮১: উপ রাষ্ট্রপতি পদ থেকে রাষ্ট্রপতির পদে নির্বাচনের বিধান নিশ্চিত করন
(
উথাপনকারী- সংসদ নেতা শাহ আজিজুর রহমান)

সপ্তম সংশোধনী
১০ নভেম্বর ১৯৮৬: ১৯৮২ সালের ২৪ মার্চ থেকে ১৯৮৬ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সামরিক আইন বলবৎ থাকাকালিন সময়ে প্রণীত সকল ফরমান, প্রধান সামরিক আইন প্রশাসকের আদেশ, নির্দেশ, অধ্যাদেশ সহ আন্যান্য আইন অনুমোদন
(
উথাপনকারী- আইন সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী বিচারপতি কে এম নূরুল ইসলাম)

অষ্টম সংশোধনী
১১মে ১৯৮৮: রাষ্টধর্ম হিসাবে ইসলামকে স্বীকৃতি দান এবং ঢাকার বাহিরে ৬টি জেলায় হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ স্থাপন Dacca এর নাম Dhaka এবং Bangali এর নাম Bangla পরিবর্তন করা হয়
(
উথাপনকারী- সংসদ নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ)

নবম সংশোধনী
জুলাই ১৮৮৯: রাষ্ট্রপতি নির্বাচলের সাথে একই সময়ে উপরাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচন অনুষ্ঠান করা, রাষ্ট্রপতি পদে কোন ব্যাক্তিকে পর পর দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধ রাখা
(
উথাপনকারী- সংসদ নেতা ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ)

দশম সংশোধনী
১০ জুন ১৯৯০: রাষ্ট্রপতির কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবার পূর্বে ১৮০ দিনের মধ্যে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ব্যাপারে সংবিধানের ১২৩() অনুচ্ছেদর বাংলা ভাষ্য সংশোধন সংসদে মহিলাদের ৩০টি আসন আরো ১০ বছরকালের জন্য সংরক্ষণ
(
উথাপনকারী- আইন বিচারমন্ত্রী হাবিবুর রহমান)

একাদশ সংশোধনী
জুলাই ১৯৯১: অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদের স্বপদে ফিরে যাবার বিধান
(
উথাপনকারী- আইন বিচারমন্ত্রী মীর্জা গোলাম হাফিজ)

দ্বাদশ সংশোধনী
জুলাই ১৯৯১: সংসদী্য় পদ্ধতিতে সরকার প্রবর্তন
(
উথাপনকারী- প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জি্যা)

ক্রয়োদশ সংশোধনী
২১ মার্চ ১৯৯৬: অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনে অনুষ্ঠানের জন্য নির্দলী্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠন
(
উথাপনকারী- শিক্ষামন্ত্রী জমির উদ্দিন সরকার)

চতুর্দশ সংশোধনী
২৭ মার্চ ২০০৪ ২৮ এপ্রিল ২০০৪: নারীদের জন্য ৪৫ আসন সংরক্ষণ, রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী ছবি সংরক্ষণ, অর্থ বিল, সংসদ সদশ্যদের শপথ, সাংবিধানিক বিভিন্ন পদের বয়স বৃদ্ধি
(
উথাপনকারী- আইন, বিচার সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ)
 
সংবিধান (পঞ্চদশ সংশোধনী) বিল ২০১১
২৫শে জুন ২০১১
সংবিধানের প্রস্তাবনা সংশোধন, ১৯৭২-এর মূলনীতি পূনর্বহাল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বিলুপ্তকরণ, /১১ পরবর্তী দ্বিতীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ম বহির্ভুতভাবে ৯০ দিনের অধিক ক্ষমতায় থাকার বিষয়টি প্রমার্জ্জনা, নারীদের জন্য সংসদে ৫০ টি সংসদীয় আসন সংরক্ষণ, নির্বাচন কমিশনের ক্ষমতা বৃদ্ধি ইত্যাদি

সংবিধান (ষোড়শ সংশোধনী) বিল ২০১৪
সেপ্টেম্বর ২০১৪
বাহাত্তরের সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ পুনঃস্থাপনের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদকে ফিরিয়ে দেয়া